ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পারিবারিক কলহের জের ধরে তুষার প্রামাণিক (৩২) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। সে উপজেলার ময়না ইউনিয়নের চরবর্ণী গ্রামের বাসিন্দা ও বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ফরিদ প্রামাণিকের ছেলে এবং ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী। গত শুক্রবার রাতে চরবর্ণী গ্রামের তুষারের বসতঘর থেকে স্থানীয় থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে।
থানা ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী ও বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের চরবর্ণী গ্রামের ফরিদ প্রামাণিকের প্রথম স্ত্রী (তুষারের মা) মারা যাওয়ার পর দ্বিতীয় বিয়ে করে পৌরসদরেই বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। ফরিদ প্রামাণিকের একমাত্র ছেলে তুষার প্রমানিক ১০ বছর আগে খালাতো বোন নিপা পারভীনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
নিপার বাবা-মা ঢাকায় বসবাস করেন। তুষার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি চরবর্নি গ্রামে বসবাস করতেন। তবে সে কোন কর্ম না করলেও বাবার দেয়া টাকা দিয়ে সংসার চালাতেন। তবে তিন সন্তানের জনক তুষার প্রামাণিক স্ত্রীর সাথে দীর্ঘদিন বনিবনা ভালো যাচ্ছিলো না।
গত শুক্রবার দিনভর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা চলছিলো। সন্ধ্যায় তুষারের বাবা ফরিদ প্রামাণিক নিপাকে মামা শশুর বাড়ি উপজেলার চতুল গ্রামে পাঠিয়ে দেন। রাতে স্ত্রীর উপর অভিমান করে নিজ বসতঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস নেয়। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি টের পেয়ে থানায় খবর দিলে গত শুক্রবার রাতে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
টিএইচ
